গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এগুলো নিয়ে আমরা অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকি। অনেকে ভাবি কি খাব, কি খাব না এ সকল বিষয় নিয়ে ভাবনাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। কারণ মায়ের গর্ভের সন্তানের পুষ্টি নির্ভর করে মায়ের খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে নিয়মিত ডিম খাওয়া
- সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা
- শিশুর বুদ্ধি বিকাশেগরু/ছাগলের কলিজা খাওয়া
- বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস
- বুদ্ধি বিকাশে সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করা
- সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে দুধের উপকারিতা
- বীজ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা
- ব্লুবেরি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা
- গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস তৈরি করা
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থাকালে কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এটা সকল বাবা মা জানতে চায়। কারণ সকলে চায় তাদের সন্তান বুদ্ধিমান হোক সুন্দর হোক। সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকুক এটা সকল মা বাবার প্রত্যাশা। আর এগুলো নির্ভর করে মায়ের উপর অর্থাৎ মায়ের খাদ্যাভ্যাস যদি ঠিক থাকে তাহলে তার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।তাই এই গর্ভাবস্থায় সকল মায়েদের উচিত তাদের খাদ্যাভ্যাস গতানুগতিক নিয়মে পরিচালিত না করে তাদের খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার রাখা উচিত। তাদের খাদ্য তালিকায় ফলিক অ্যাসিড, আয়রন,জিংক, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, সবুজ শাকসব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার, বীজ জাতীয় খাবার রাখা উচিত। আর প্রতিদিন একই খাবার পুনরাবৃত্তি না করা উচিত। গর্ভাবস্থায় পঁচা বা নষ্ট খাবার খাওয়া উচিত না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে কি করণীয়
গর্ভাবস্থায় সন্তানের যত্ন নেওয়ার আগে নিজের যত্ন নিতে হবে। কারণ আপনি সুস্থ্য থাকলে আপনার সন্তান সুস্থ্য থাকবে । কারণ গর্ভাবস্থায় আপনার গর্ভের সন্তানের পঁচিশ ভাগ ব্রেনের ডেভেলপ হয়। এবং এই গর্ভাবস্থায় কোন ঝঁকির কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আপনার কোন ক্ষতি হলে আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। আপনার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর করে আপনার যত্নের উপর। আপনি যদি নিজেকে যত্নশীল করে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকশিত ঘটবে। তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক কি খেলে বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। নিচে এরকম কিছু খাবারের নাম এবং ব্যাখ্যা দেওয়া হল যাতে করে আপনি বুঝতে পারেন গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া উচিত আর কি খাওয়া উচিত না।
বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে নিয়মিত ডিম খাওয়া
ডিম হলো প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং শর্করা। আর এই শর্করা আমাদের দেহের মাংসপেশীতে শক্তি সরবরাহ করে। দেহে শক্তি যোগায় কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।গর্ভাবস্থায় ডিম খেলে সন্তানের শরীর ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। এই শর্করা জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে আর একজন গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটের হজম শক্তি ভালো রাখতে ডিম অত্যান্ত কার্যকরী।কারণ পেটের হজম শক্তি ভালো থাকলে সন্তান তার পুষ্টি সঠিকভাবে পেয়ে থাকে। আর আপনার সন্তান যখন সঠিকভাবে পুষ্টি পাবে তখন আপনার সন্তান হবে পুষ্টিসমৃদ্ধ ও বুদ্ধিমান।
সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা
গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ফ্যাটি- ৩ অ্যাসিড, প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন ও সেলেনিয়াম ইত্যাদি। যেগুলো আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। বিশেষ করে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভাবস্থায় অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।কারণ ওমেগা ৩ সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে থাকে। আর এই ওমেগা -৩ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ইলিশ, টুনা, স্যাম্ রূপচাঁদা ইত্যাদি। তবে এই সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত না খাওয়ায় ভালো সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার খাওয়া উচিত।
শিশুর বুদ্ধি বিকাশেগরু/ছাগলের কলিজা খাওয়া
গরু বা ছাগলের কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড। যেটা গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের খুবই প্রয়োজন। এই ফলিক অ্যাসিড ভিটামিন বি-৯ নামে পরিচিত। এই ফলিক অ্যাসিড গর্ভে সন্তানে কোষ বিভাজন, রক্ত তৈরি, স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে। আর এই ফলিক অ্যাসিড এর ঘাটতি থাকলে আপনার গর্ভের বাচ্চার রক্ত তৈরিতে বাধা সৃষ্ট হতে পারে। ফলে আপনার বাচ্চার অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর একজন গর্ভাধারী মায়ের অবশ্যই ৪০০-৮০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত। যাতে আপনার সন্তানের রক্ত তৈরিতে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়। আপনার সন্তান যতটাই সুস্থ্য থাকবে ততটাই আপনার সন্তনের বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক হবে।
বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস
বাদাম বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এই বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন মিনারেল ইত্যাদি। যা আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক। একজন গর্ভাধারী মায়ের খাদ্যতালিকায় অবশ্যয় বাদাম রাখা উচিত। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে মায়ের শরীরে শক্তি যোগায় এবং এই বাদাম সন্তানের ত্বক ও শরীরের জন্য খুবি উপকারী।
তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না অর্থাৎ বাদাম একটি অত্যন্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। তাই অতিরিক্ত খেলে আবার গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ গ্যাসের সমস্যা হয়ে আপনার পেট খারাপ হলে আপনার সকল পুষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে যেটা আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।তাই আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা উচিত। আর এই বাদামের মধ্যে রয়েছে চীনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম ইত্যাদি যেগুলো আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে আপনার খাবারের তালিকায় রাখা উচিত।
বুদ্ধি বিকাশে সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করা
সবুজ শাকসবজি হলো পুষ্টির খনি। এতে থাকে ভিটামিন মিনারেল ফাইবার এন্টিঅক্সিডেন্ট, রয়েছে বহু উপকারি উপাদান। যা শরীরকে সুস্থ্য রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শিশুর বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। সবুজ সাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে গর্ভবতী মায়ের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় সন্তানের অক্সিজেনের অভাব হয় না ফলে সন্তান সুন্দরভাবে ভূমিষ্ঠ হতে পারে এবং পুষ্টি সম্পন্ন এবং বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে দুধের উপকারিতা
দুধ অত্যন্ত একটি উপকারী খাবার একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য। কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস ও সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। দুধ একটি শর্করা জাতীয় খাবার যা আমাদের শরীরে খুব দ্রুত শক্তি যোগায় আমাদেরকে কর্মক্ষম করে তোলে। নিয়মিত দুধ পান করলে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির অভাব পূর্ণ হয়। তবে অতিরিক্ত দুধ পান এর ফলে অনেক সময় গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যদি দুধ পান করার ফলে আপনার পেটের কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গরম দুধের উপকারিত জানুন
দুধ আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম যোগায় শরীরের হাড় শক্ত, মজবুত করে সন্তানের ব্রেইন বিকাশে সহায়ক। দুধে রয়েছে খণিজ ও প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এক গ্লাস দুধ খেলেই আপনার শরীরের চার ভাগের তিন ভাগ পুষ্টি পূরণ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি দুধ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন, তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে এই গর্ভাবস্থায় কোনো জিনিস পুনরাবৃত্ত করা ঠিক নয়। প্রত্যেকটি খাবার আপনাকে রুটিন করে খেতে হবে একই খাবার প্রত্যেকদিন খাওয়া খাওয়া যাবে না। আজকে যদি আপনি দুধ খান করেন তাহলে আজকে আপনি বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। ঠিক এমন ভাবে আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করবেন। আর এভাবে যদি আপনি আপনার রুটিন সাজাতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।
বীজ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা
বীজ জাতীয় খাবার দেখতে ছোট হলেও এক একটি বীজ এক একটি পুষ্টির ক্ষণি। বীজ জাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। আপনার সন্তানের শরীরে আইরন ও ফলেট সরবরাহ করে এবং আপনার হরমোন ব্যালেন্স করে। বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস, রয়েছে ভিটামিন ডি, রয়েছে আরও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যেগুলো আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কুমড়োর বীজের অবিশ্বাস্য উপকারিতা জানুন
আপনি যদি বীজ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস না তৈরি করেন। তাহলে আপনার সন্তানের
রক্ত তৈরি, আপনার সন্তানের স্নায়ুতন্ত্র আপনার সন্তানের হ্রাস পেতে থাকবে কারণ
আপনি যদি হন পুষ্টি সম্পন্ন আপনার সন্তান হবে পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর আপনি যদি
অপুষ্টিতে ভোগেন আপনার সন্তান অপুষ্টি জনিত কারণে বিকলাঙ্গ হতে পারে। তাই অবশ্যই
আপনার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশে আপনার খাদ্য তালিকায় বীজ জাতীয় খাবার রাখা
উচিত। বীজ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে কুমড়ার বীজ, সিমের বীজ, সিয়া সিড এ
ধরনের যত বীজ জাতীয় খাবার রয়েছে এসব বীজ জাতীয় খাবার আপনার সন্তানের বুদ্ধি
বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্লুবেরি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা
বুলবেরি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল যা সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। রয়েছে
এন্টিঅক্সিজেন যা মূলত মস্তিষ্ক ত্বক এবং চোখের জন্য অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায়
এই খাবারটি খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়ক হয়। নিউরাল টিউব ডিফেক্ট
প্রতিরোধে সহায়তা করে, গর্ভবতী মায়ের ইমিউনিটি সিস্টেম বজায় রাখে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই ব্লুুবেরী ফলটা খুব ছোট হলেও অত্যন্ত এটি উপকারী খাবার
আপনার সন্তানের ব্রেনের বিকাশ ঘটানোর জন্য। আর প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য
৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ব্লুবেরি খাওয়াটাই যথেষ্ট এর অতিরিক্ত খাওয়ার কোন প্রয়োজন
নাই। কারণ মনে রাখতে হবে এই খাবারটি অনেক ছোট তবে এটা পুষ্টিগুণে ভরপুর।
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস তৈরি করা
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা। কারণ আপনি যদি আপনার
গর্ভাবস্থায় যদি ঠিকমতো পানি পান না করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করেন
তাহলে আপনার শরীরের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাবে। আপনার হজমে সমস্যা দেখা দেবে
আপনার মস্তিষ্ক বিকৃতি করতে পারে, আপনি ডি হাইড্রেশনে ভুগতে পারেন। পর্যাপ্ত পানি
পান না করার ফলে আপনার মূত্রাশয় সমস্যা দেখা দিতে পারে যেটা আপনার সন্তানের
বুদ্ধি বিকাশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে আপনার শরীরের
ত্বক সবকিছু ভালো থাকে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান পা ফোলা ঠিক রাখতে
সাহায্য করে এবং সাধারণত অন্যান্য সময়ের তুলনায় গর্ভাবস্থায় অন্তত দৈনিক এক
লিটার বেশি পানি পান করা উচিত। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান ইউরিন ইনফেকশন বা
পা ফোলা ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস
গর্ভাবস্থায় সব থেকে যে বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হচ্ছে বিশ্রাম। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম না নেন তাহলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। আপনি হয়ে পড়বেন অসুস্থ আর ক্ষতির সম্মুখীন হবে আপনার গর্ভের সন্তান। আর আপনার সন্তান ক্ষতির সম্মুখীন হলে বুদ্ধির বিকাশ চিন্তা করা স্বপ্নের মত হয়ে উঠবে। বিশ্রাম আমাদের শরীরের সুস্থতা মানসিক সুস্থ্যতা ও আবেগগত সুস্থ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর যখনই এই বিশ্রামের ঘাটতি দেখা দেবে তখনই আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আর আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আপনার গর্ভের সন্তান ও পুষ্টি হীনতায় ভুগবে। আপনার গর্ভের সন্তানের বৃদ্ধির বিকাশে বিশ্রামও তত অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম আপনার মানসিক প্রশান্তি এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার হরমোন ব্যালেন্স থাকলে আপনার সন্তানের হরমোন ব্যালেন্স থাকে আপনার সন্তানের বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন আশা করি। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ জন্মের আগেই শুরু হয় এবং তা জন্মের পরে তা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। আর এই বিকাশের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার। গর্ভাবস্থায় মা যদি ডিম, দু্ধ,ফলমূল, ফলিক এসিড জাতীয় খাবার, শাকসবজি ইত্যাদি যদি তার খাদ্য তালিকায় রাখে তাহলে শিশুর মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির ভিত্তি মজবুত হবে।
তাই শুধু গর্ভাবস্থায় নয় শিশুর জন্মের পরেও এই খাবারগুলো খাওয়ানোর মাধ্যমে তার বুদ্ধি, শেখার আগ্র্ আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। সুতরাং একটি বুদ্ধিমান সক্ষম এবং সচেতন প্রজন্ম গড়তে হলে আমাদের প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক খাবার নির্বচন।
JI Digital IT-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url